নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় দফার বৈঠকেও রয়েই গেল রাজীব ধোঁয়াশা। সোমবার দক্ষিণ কলকাতায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে বৈঠকে বসেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, ১৩ ডিসেম্বরের বৈঠকে বেশ কিছু ক্ষোভ ও অভিমানের কথা পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোরকে জানিয়েছিলেন রাজীব। দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করার পরই তাঁর সঙ্গে এক দফার বৈঠক করে তৃণমূল নেতৃত্ব৷ প্রথম বৈঠক সদর্থক না হওয়ায় সোমবার ফের দ্বিতীয় বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়। এমনকী প্রথম বৈঠকে রাজীবের ক্ষোভের কথা দলনেত্রীকেও জানান হয়।
উল্লেখ্য, বেশ কয়েক মাস ধরেই “বেসুরো” রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবারের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজীব জানান, “আমি একজন দলীয় কর্মী। দলের নেতা ডেকেছিলেন বলে এসেছি। ঘটনায় বেশি উৎসাহ না দেখানোই ভালো। এখনও বলার মতো কিছু হয়নি।” বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি আরও জানান, “দলের মধ্যের কথা আমি সংবাদমাধ্যমকে জানাব না।” শুভেন্দু প্রসঙ্গে কিছুটা সাবধানী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মন্তব্য, “সবারই একটা নিজস্ব মতামত থাকে। শুভেন্দু একটা আলাদা মানুষ, আমিও আলাদা মানুষ।”
শুভেন্দু প্রসঙ্গে তাঁর প্রতিক্রিয়া শুনে রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, আপাতত খুব মেপে পা ফেলছেন তিনি। তাই সংবাদ মাধ্যমের সামনে এখনই কিছু বলতে রাজি নন। তবে দ্বিতীয় দফার এই বৈঠকের পর রাজীবের সঙ্গে দলের সম্পর্কে কোনও পরিবর্তন হয় কিনা, এখন সেই দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।