নিউজ ডেস্ক: বিজেপির সাংগঠনিক কলকাতা জোনের পর্যবেক্ষক করা হয়েছে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। কমিটির সহ-আহ্বায়ক হিসাবে রাখা হয়েছে তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সম্প্রতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বাক্ষর করা এই নিয়োগপত্র প্রকাশ্যে আসে। ওই কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন যুবমোর্চার সভাপতি দেবজিৎ সরকার।
২০১৯ সালের ১৪ অগস্ট দিল্লিতে গিয়ে জেপি নড্ডার হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শোভন ও বৈশাখী। কিন্তু বিজেপির ঝান্ডা হাতে শহরের রাস্তায় দেখা যায়নি তাঁদের। বিজেপির বিজয়া সম্মেলনীতে বৈশাখীকে আমন্ত্রণ না জানানোয় গোঁসা করে শোভনও আসেননি। বরং ভাইফোঁটার দিন কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে ফোঁটা নিয়ে ঘর ওয়াপসির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত তেমন কিছুই ঘটেনি। নভেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কলকাতা সফরের সময় তাঁর সঙ্গে দেখা করেন শোভন। সেই সময়ই ইঙ্গিত মিলেছিল রাজ্য রাজনীতির আঙ্গিনায় ফের সক্রিয় হতে পারেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র।
সাংগঠনিক কলকাতা জোনের কমিটিতে বৈশাখী ছাড়াও সহ আহ্বায়ক হয়েছেন রাজ্য যুবমোর্চার সহসভাপতি শঙ্কুদেব পন্ডাকে। কলকাতায় ১১টি, দমদম লোকসভার অধীন ৭টি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩১টি বিধানসভা নিয়ে বিজেপির সাংগঠনিক কলকাতা জোনের দায়িত্ব দেওয়া হল বেহালা পূর্বের বিধায়ককে। প্রতিক্রিয়ায় শোভনের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বয়ফ্রেন্ডকে ডাকলে গার্লফ্রেন্ডকেও ডাকতে হবে, এ ভাবে তো আর রাজনীতি হয় না। রাজনীতি হয় অন্তর থেকে।’’ এখন দেখার নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর গেরুয়া শিবিরে কতটা সক্রিয় হন শোভন।