নিউজ ডেস্ক: অন্ধকারে ডুবে পাকিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকা। বড়সড় বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ফলে গভীর অন্ধকারে করাচি, লাহৌর, ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিণ্ডি, পেশোয়ার, মুলতান, কোয়েটা, ফয়সলাবাদ, মুজফ্ফরগড়, নারোয়াল, ভাক্কার, কবিরওয়ালা, খানেওয়ালা, ভাওয়ালপুর এবং সুক্কুর-সহ দেশের ১১৪টি শহরে। শনিবার স্থানীয় সময় রাত পৌনে ১২টা নাগাদ হঠাৎই ব্ল্যাকআউট হয়ে যায় গোটা দেশ। এই বিপর্যয়ের জেরে মোবাইল এবং ইন্টারনেট পরিষেবাও স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। এমনকী, জিন্না আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও কোনও বিদ্যুৎ নেই। মধ্যরাতে গভীর অন্ধকারে ডুবে যায় রাজধানীও।
ইসলামাবাদের ডেপুটি কমিশনার হামজা শফাকত ট্যুইটারে করে জানান, ন্যাশনাল ট্রান্সমিশন ডেসপ্যাচ কোম্পানির (এনটিডিসি) বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়ে পাকিস্তানজুড়ে অন্ধকার নেমে এসেছে। তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কিছুক্ষণ সময় লাগবে।’
NTDC system tripped. It will take sometime before everything gets back to normal. #blackout #electricity
— Office of Deputy Commissioner Islamabad (@dcislamabad) January 9, 2021
পাকিস্তানের বিদ্যুৎমন্ত্রী ওমর আয়ুব খান জানান, হঠাৎই বিদ্যুৎ বণ্টন পরিষেবার ফ্রিকোয়েন্সি একধাক্কায় পড়ে যাওয়ায় অন্ধকারে ডুবে গেছে পাকিস্তান। কী কারণে এই ফ্রিকোয়েন্সি একধাক্কায় এত কমে গেল তা খতিয়ে করে দেখা হচ্ছে। তবে আস্তে আস্তে সব জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
পাকিস্তানের ব্ল্যাকআউটের খবর ছড়িয়ে পড়তে স্বভাবতই উত্তাল হয়ে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া। রাতেই ট্যুইটারে ব্ল্যাকআউট হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ডিং হতে শুরু করে। রীতিমতো হাসির পাত্র হয়ে ওঠেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। অনেকে আবার করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ব্ল্যাকআউটের ফলে হাসপাতালগুলির পরিষেবা যে ভেঙে পড়বে, তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য ২০১৫ সালে ব্ল্যাকআউট হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। রাজধানী ইসলামাবাদ-সহ দেশের ৮০ শতাংশ অঞ্চল । ন্যাশনাল গ্রিড বসে যাওয়ার কারণে সেই ভয়ানক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছিল গোটা পাকিস্তানকে। তৎকালীন বিদ্যুৎমন্ত্রী আবিদ শের আলি গোটা ঘটনার জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। যদিও এইবারের কারণ এখনও পর্যন্ত পরিস্কার নয়।