নিউজ ডেস্ক: ইলেক্টরাল কলেজের ভোট পর্বের আগেই নজিরবিহীন হামলা ইউএস ক্যাপিটল বিল্ডিং-এ। ডোনাল্ড ট্রাম্প সমর্থকদের এই হামলার জেরে ভেস্তে গেল বিতর্ক সভা। গোপন সুড়ঙ্গ দিয়ে নিরাপদ ঘরে নিয়ে যাওয়া হল সেনেটরদের। নিরাপত্তার সঙ্গে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয় ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকেও। পুলিশের গুলিতে অন্তত চার জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। তড়িঘড়ি ওয়াশিংটন ডিসিতে লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
আমেরিকার ইতিহাসে নিন্দনীয় ঘটনা। যা আগে কোনওদিন দেখেনি বিশ্ব, এদিন তাই ঘটল। এ মাসেই ২০ তারিখ জো বাইডেনের মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার কথা। সেই পথ পরিষ্কার করতে ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে মার্কিন কংগ্রেসে জয়েন্ট সেশনে ইলেক্টোরাল কলেজে ভোট গণনা চলছিল। তখন একদল ট্রাম্প সমর্থক ‘উই ওয়ান্ট ট্রাম্প’ স্লোগান দিতে দিতে ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে জোর করে ঢুকে পড়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশের গুলিতে মারা যান অন্তত ৪ জন। বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহত হন, অন্তত ১ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
‘আমরা কখনও পরাজয় স্বীকার করব না’, বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেই তাঁর কয়েকহাজার সমর্থকের সামনে এই বক্তৃতা দিয়েছিলেন। এদিন যখন পর পর দরজা-জানালার কাচ ভেঙে পড়ছে। ঠিক সেসময় ট্রাম্পের রিপাবলিকান সেনেটরদের দিকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন অনেকে— ‘ডাকুন আপনার নেতাকে! তাঁর জন্যই তো এ সব হচ্ছে।’ এর মধ্যে ট্যুইট করে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানান বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
I am asking for everyone at the U.S. Capitol to remain peaceful. No violence! Remember, WE are the Party of Law & Order – respect the Law and our great men and women in Blue. Thank you!
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) January 6, 2021
এদিন অশান্তির জেরে বন্ধ করে দিতে হয় ইলেক্টোরাল কলেজ বিতর্ক, নিরাপত্তার খাতিরে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে বিল্ডিং থেকে বার করে দেওয়া হয়। ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সও ট্যুইট করে বলেছেন, ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ের ওপর এই হামলা কোনওমতেই বরদাস্ত করা হবে না। যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তারা শাস্তি পাবে। আপাতত ওয়াশিংটন ডিসিতে লকডাউন ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।