সমরেন্দ্র দাস
ঝালতোলা
কুমায়ুন রেঞ্জের ঝালতোলা ট্যুরিস্ট স্পট হিসেবে এখন বেশ জনপ্রিয় নাম। চৌকরি আর পাতাল ভুবনেশ্বরের প্রায় মধ্যবর্তী এই জায়গাটি ২০৬০ মিটার উঁচু। ঝালতোলার উত্তরদিকের হিমালয়ের অপরূপ সৌন্দর্যের পাশাপাশি তিনটি দিকে একেবারে সবুজের বিস্তার পর্যটকদের কাছে যেন স্বর্গের সমান।
উত্তর দিকের পর্বতশৃঙ্গগুলির মধ্যে নন্দাঘুন্টি, ত্রিশূল, মাইকতোলি, নন্দাদেবী, হংসলিং, রাজরম্ভা, পঞ্চচুল্লি, চিপলাকোট। সেইসঙ্গে পশ্চিম নেপালের আদি নামফা শৃঙ্গগুলি সবসময়ই যেন হাতছানি দিয়ে ডাকে। হিমালয় এবং বনরাজি মানুষের মনে যেন কুহক জাগায়।
ঝালতোলায় ভালো থাকা-খাওয়ার জায়গা বলতে প্রথমেই যে নামটি আসে তা হল মিস্টি মাউন্টেনস রিসর্ট। অরণ্যের ভিতরে ছোট-বড় সব কটেজগুলি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। বড় কটেজে ৮-১০ জন অনায়াসে রাত্রিযাপন করতে পারেন। জঙ্গলের মধ্যে কটেজের মধ্যে জন্তু জানোয়ারের ডাক শুনতে পাবেন। এ এক মোহময় পরিবেশ এবং অবশ্যই যথেষ্ট রোমাঞ্চকর। এ অরণ্যে বার্কিং ডিয়ার, সজারু, বুনো শুয়োর, শিয়াল, বনবিড়াল এবং সরীসৃপ দেখতে পাওয়া যায়। খরগোশ আর বাঁদরও মিলবে। মাঝেসাঝে চিতাবাঘের সাক্ষাৎ পাওয়া যায়।
সেইসঙ্গে অসংখ্য পাখির ঝাঁক ও কলকাকলি। জঙ্গলের ভিতর দিয়ে দেড় কিলোমিটার হাঁটলেই পাবেন সানসেট পয়েন্ট। দেখে মনে হবে ঠিক যেন ক্যালেন্ডারে দেখা ছবি! তবে একা না যাওয়াই ভালো– রিসর্টের কোনও কর্মীকে গাইড হিসাবে পাওয়া যায়। উৎসাহী পর্যটক কষ্টকর চড়াই ভেঙে লম্বকেশ্বর শিবমন্দিরটিও ঘুরে আসতে পারেন। অনেকের মতে এই মন্দির চত্বরটি নাকি কুমায়ুনের সেরা ভিউ পয়েন্ট!
ছবি ঋণ: ইন্টারনেট
[সমাপ্ত]