নিউজ ডেস্ক : ক্রিসমাসের আনন্দ বিশ্বজুড়ে। ক্রিসমাস ট্রি, জিঙ্গল বেল, আলোকমালায় সেজে উঠেছে সব দেশ। যিশুর জন্মদিন হিসেবে সেলিব্রেট করা হয় ক্রিসমাস। বেথলেহেম নগরের এক গোয়াল ঘরে মা মেরির কোলে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ছোট্ট যিশু। ২৫ ডিসেম্বর যিশুর জন্মদিন হিসাবে পালিত হয়। করোনা আবহে সেলিব্রেশনে ভাটা পড়লেও ক্রিসমাস মানেই সবার মুখে হাসি। ছোট-বড় সবাই বছরভর ক্রিসমাসের জন্য অপেকক্ষা করেন। শিশুরা তো বিশেষ করে। সান্তা ক্লজ উপহারের ডালি নিয়ে আসেন বাচ্চাদের জন্য। কিন্তু আপনি জানেন কি, সান্তা ক্লজ কোনও কাল্পনিক চরিত্র নয়, বাস্তবে কিন্তু সান্তা ক্লজ আছেন। ক্রিসমাস নিয়ে এমনই অনেক অজানা তথ্য রয়েছে। জানুন সেগুলি।
সেন্ট নিকোলাস ছিলেন প্রথম সান্তা ক্লজ। তিনি ছিলেন শতাব্দী চতুর্থ এক খ্রিস্টান সাধু। তিনি সান্তা ক্লজ সাজেন প্রথমবার। প্রথম থেকেই কিন্তু সান্তা ক্লজের পোশাক লাল রঙের ছিল না। একটি ঠান্ডা পানীয় প্রস্তুতকারক সংস্থার বিজ্ঞাপনে সান্তা লাল পোশাক পরেন, তারপর থেেক লাল পোশাকের প্রচলন। তার আগে নীল, সবুজ সব রঙের পোশাক পরতেন সান্তা বুড়ো।
ক্রিসমাস ডিনার মানে টার্কি। কিন্তু জানেন কী প্রথম থেকে ক্রিসমাস ডিনারে টার্কি খাওয়া হত না, ইংল্যান্ডে শুয়োরের মাথা এবং সর্ষে দিয়ে এই উৎসব উদযাপন করা হত। ১৮৫৭ সালে ক্যারোল ‘জিঙ্গল বেলস’ লেখা হয়। যিশুকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য।
ক্রিসমাস ট্রি ক্রিসমাস সেলিব্রেশনের একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। এই ক্রিসমাস ট্রি প্রথম তৈরি করে জার্মানি। প্রথমে ফার গাছকে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হলেও পরে আসে নকল গাছ। ১৯৯১ সাল থেকে কৃত্রিম ক্রিসমাস ট্রি-এর প্রচলন শুরু হয়, ধীরে ধীরে আসল ক্রিসমাস ট্রি-র চাহিদা কমতে থাকে।
বলিভিয়ানরা মধ্যরাতে যখন একত্রিত হয়, তখন তারা মোরগ নিয়ে আসেন, কারণ তাদের বিশ্বাস যিশুর জন্মের খবর প্রথম মোরগ দিয়েছিল বিশ্বের কিছু জায়গায় ক্রিসমাস ১২ দিন ধরে উদযাপিত হয়, কারণ শিশু যিশুকে খুঁজে পেতে নাকি তিন রাজার ১২ দিন সময় লেগেছিল। এরকম অনেক অজানা তথ্য রয়েছে ক্রিসমাসকে ঘিরে।