নিউজ ডেস্ক: আলোয় ঝলমল করছে শহরের রাস্তাঘাট। বাড়িতে বাড়িতে ক্রিসমাস ট্রি সাজানোর প্রস্তুতি তুঙ্গে। কেউ কেউ বাজার থেকে কিনে আনছেন আসল দেবদারু বা ফার গাছ। কেউ আবার কিনে আনতে ব্যস্ত আর্টিফিসিয়াল গাছ। আবার অনেকেই ঝাউ গাছকেও ক্রিসমাস ট্রি হিসাবে ব্যবহার করছেন। ক্রিসমাস ট্রি’তে আলো ছাড়াও বিভিন্ন গিফট বক্স, ঘণ্টা দিয়ে সাজানো হয়। আর গাছের ওপরে বসানো হয় একটি তারা।
ক্রিসমাস ট্রি নিয়ে প্রচলিত আছে অনেক গল্প। রোমের এক দরিদ্র কাঠুরের ঘরে এক শীতের রাতে এক শিশু হাজির হয়। কাঠুরে দম্পতি ছিলেন যিশুভক্ত। তাঁরা শিশুটিকে খাওয়ান, ঘুমানোর জায়গা করে দেন। পরের দিন সকালে ওই শিশু দেবতার রূপ ধরে দরিদ্র কাঠুরেকে বললেন ‘আমিই যিশু’। তাঁকে এতো আদর আপ্যায়ন করার জন্য শিশুটি তাদের একটা গাছের ডাল দিয়ে সেটা মাটিতে পুঁতে রাখতে বলেন। তারপর থেকে প্রত্যেকবছর ওই দিনটিতে গাছটি সোনালি আপেলে ভরে উঠত। তখন থেকেই নাকি এই দিনটাকে ক্রিসমাস বলা হয়ে থাকে।
পাশপাশি আরও একটি গল্প আছে,একদিন এক গরিব শিশু কিছু পাইন গাছের চারার বিনিময়ে পয়সা দেওয়ার অনুরোধ করল এক গির্জার মালিকে। মালি গাছগুলো নিয়ে গির্জার পাশে পুঁতে রাখেন। ক্রিসমাসের দিন ঘুম থেকে উঠে তিনি দেখেন, গাছগুলো গির্জার চেয়েও বড় হয়ে গেছে এবং সেগুলো থেকে অজস্র তারার আলো ঝরে পড়ছে। মালি তখন গাছগুলোর নাম দিল ক্রিসমাস ট্রি।