নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ৫৫ বছরের অপেক্ষার শেষ হল ১৭ ডিসেম্বর। অনেক দিন পর এদিন ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে উদ্বোধন হল হলদি বাড়ী ও বাংলাদেশের নীলফামারীর চিলাহাটীর মধ্যে বন্ধ থাকা রেল পরিষেবার। প্রথম পর্যায়ে পণ্যবাহী ট্রেন চালানো হলেও পরবর্তী সময় ২০২১-এর মার্চ মাস থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর পরিকল্পনাও রয়েছে।
ব্রিটিশ আমলে অবিভক্ত ভারতের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ছিল এই চিলাহাটী-হলদি বাড়ী। বৃহস্পতিবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যৌথভাবে ওই রেল যোগাযোগের উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চিলাহাটীতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী মহম্মদ নুরুল ইসলাম। এদিন দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
ব্রিটিশ আমলে এই পথ দিয়ে চলত একাধিক যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী ট্রেন। এই যোগাযোগের উপর নির্ভর করে সে আমলে চিলাহাটী হয়ে উঠেছিল অন্যতম বাণিজ্যকেন্দ্র। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের পর থেকে পথটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সেই থেকে ফের রেলপথ চালুর দাবি জানিয়ে আসছিলেন এলাকাবাসী। সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘ ৫৫ বছর পর ফের এই রেলপথ চালুর বিষয়ে উদ্যোগী হয় দুই দেশ। বাংলাদেশের নীলফামারী জেলার সীমান্তবর্তী রেল স্টেশন হল চিলাহাটী। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ তাদের অংশে ৬.৭২ কিলোমিটার রেল লাইন বসানোর কাজ শেষ করেছে। অন্যদিকে হলদি বাড়ী থেকে বাংলাদেশের সীমান্ত পর্যন্ত শেষ হয়েছে তিন কিলোমিটার রেললাইন বসানোর কাজ। ৮০ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ের ওই প্রকল্পে রেললাইন বসানো ছাড়াও চার কিলোমিটার লুপ লাইন, আটটি লেভেলক্রসিং ও ৯টি ব্রিজ-সহ অন্যান্য পরিকাঠামোর কাজ করা হয়েছে।
এদিন উদ্বোধন অনুষ্ঠান উপলক্ষে অপরূপ সাজে সেজে উঠেছিল চিলাহাটী রেলস্টেশন। করোনা পরিস্থিতিতে এই ট্রেন পরিষেবা চালু হওয়ায় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক মহল।