নিউজ ডেস্ক: ‘সংবিধান সম্পর্কে নিজেকে আগে শিক্ষিত করে তুলুন’, সম্প্রতি এভাষাতেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে চিঠি লিখলেন ১০৪ জন প্রাক্তন আইএএস আধিকারিক। চিঠির মূল সারাংশ, ক্রমেই ঘৃণার রাজনীতির কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠছে উত্তরপ্রদেশ। আর সেটা ধর্মান্তকরণ প্রতিরোধী আইন প্রণয়নের পর থেকে আরই বেড়ে গিয়েছে। এই হিংসার জন্য সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকেই দোষারোপ করেন প্রাক্তন আইএএস আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘এক সময় গঙ্গা-যমুনা সভ্যতার ধারক ছিল উত্তর প্রদেশ, এখন তা ঘৃণা, বিভাজন ও কট্টরবাদের অবাধ চারণভূমি। সাম্প্রদায়িক বিষে ডুবে যাচ্ছে প্রশাসন। … উত্তর প্রদেশে ভারতীয় যুবাদের আপনার প্রশাসন জঘন্য অত্য়াচারের শৃঙ্খল পরিয়ে রেখেছে। গোঁড়ামি সর্বত্র।’ চিঠি প্রেরকদের তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন, প্রাক্তন বিদেশ সচিব নিরুপমা রাও, প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন উপদেষ্ট টিকেএ নায়ারের নামও।
গত ২৭ নভেম্বর উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন পটেল ধর্মান্তকরণ প্রতিরোধী অর্ডিন্যান্সে সই করেন। ওই আইন প্রণয়নের পর থেকেই
গত এক মাসে ৫১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৪৯ জন এখনও জেলে। ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। প্রাক্তন আধিকািরকদের মতে, ধর্মান্তকরণ প্রতিরোধী আইন মানুষের মধ্যে বিভেদের কাঁটা ফোটাচ্ছে। এই আইন প্রত্যাহারেরও দাবি তুলেছেন প্রাক্তন আইএএস আধিকারিকরা। ধর্মান্তকরণ প্রতিরোধী আইন প্রত্যাহারের দাবির পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ যোগীর জন্য এই প্রাক্তন আমলাদের পরামর্শ, ‘সংবিধান সম্পর্কে নিজেকে শিক্ষিত করুন, যা ছুঁয়ে আপনি এগিয়ে চলার শপথ নিয়েছিলেন।’