দেবমিতা ঘোষ মজুমদার
কৃষক স্বার্থরক্ষার পাশাপাশি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার দেশজুড়ে পালিত হল ভারত বনধ। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত বনধের ডাক দেয় কৃষক সংগঠনগুলি। তাঁদের আন্দোলনকে সমর্থন জানায় দেশের একাধিক বিরোধী দল।
সারা দেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেও বনধের ব্যাপক প্রভাব পড়ল। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকার গুরুত্বপূর্ণ বাস স্ট্যান্ড থেকে ছাড়েনি কোনও দূরপাল্লার বাস। বন্ধ দোকানপাট, শুনশান রাস্তা। অন্যান্য দিনের তুলনায় একেবারেই অন্য চিত্র দেখতে পাওয়া গেল এদিন।
পাশাপাশি হাওড়ার ডোমজুড়ের সলপে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বামকর্মী সমর্থকেরা। একেবারেই শুনশান জাতীয় সড়কে। বালিতেও একাধিক জায়গায় চলে পথ অবরোধ। ডোমজুড় রেল স্টেশনে লাঙল হাতে অবরোধে নামেন বাম কর্মীরা। লোকাল ট্রেন আটকে বিক্ষোভ চলে রিষড়া, মধ্যমগ্রাম, যাদবপুর-সহ বিভিন্ন স্টেশনে।
উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের দোলতলা মোড়ে পথ অবরোধ করে বামেরা। অবরোধ হয় মধ্যমগ্রাম চৌমাথা মোড়েও। বাঁকুড়ায় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বাম কৃষক সংগঠন। বাঁকুড়া শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গোবিন্দনগর বাসস্ট্যান্ড থেকেও চলল না কোনও বাস।
জেলার পাশাপাশি শহর কলকাতাতেও কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে বামেরা। লেকটাউন, বউবাজার, শ্যামবাজার-সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় চলে বিক্ষোভ মিছিল।
রাজনৈতিক মহলের মতে, সারা দেশের পাশাপাশি বাংলাতেও কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে স্বতঃস্ফূর্ত বনধে কপালে চিন্তার ভাঁজ মোদি সরকারের।