নিউজ ডেস্ক: জঙ্গলমহলে কার্যত ধাক্কা খেল শুভেন্দুর সভা। স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে এমনটাই ইঙ্গিত। গোপীবল্লভপুর ২ ব্লকে দিলীপ ঘোষের জন্মভূমিতে তিনি নিজে আক্রমণাত্বক বক্তৃতা রাখলেও শুভেন্দু অধিকারীর মুখে এদিন নতুন কোনও কথা শোনা যায়নি। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার পর থেকে তিনি নিয়মিতভাবে ‘ভাইপো’কে আক্রমণ করে যাচ্ছেন। এদিনও তার ব্যতিক্রম হল না।
মাত্র হাজার-বারোশোর একটি জমায়েতে বক্তব্য রাখলেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে বাম আমলে এখানকার অত্যাচারিতদের পাশে তিনি কী ভাবে দাঁড়িয়েছিলেন, সেই কথা মনে করিয়ে দেন শুভেন্দু। ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেন বর্তমান পরিস্থিতিও সেইরকমই চলছে। আর সেই কারণেই তিনি শিবির বদলে বিজেপিতে গিয়েছেন। এবং স্থানীয়দের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘তৃণমূলকে এখানে চারটি আসনেই হারাতে হবে। এখানে দু’টি জেলা পরিষদ তৃণমূল অন্যায় ভাবে দখল করেছে।’ এদিনও তাঁর মুখে শোনা গেল, ‘বাংলায় এবং দিল্লিতে একই দলের সরকার হবে। পিসি-ভাইপোর কোম্পানি আমাদের অপমান করেছে।’ গোপীবল্লভপুরেরর সভা শেষে কাঁথির উদ্দেশ্যে চলে যান শুভেন্দু অধিকারী।
বিজেপিতে যোগদানের পর জঙ্গলমহলে এই প্রথম প্রকাশ্য জনসভা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। আন্তরিক জাতীয়তাবাদী গৈরিক অভিনন্দন জানিয়ে রবিবার দুপুরে ঝাড়গ্রামে বক্তব্য শুরু করেন শুভেন্দু অধিকারী। আলাদা করে দিলীপ ঘোষের নাম করে তাঁকে সম্মান জানান। ঝাড়গ্রামের মানুষের সঙ্গে নিজেকে একাত্ম করে শুভেন্দু বলেন, অখণ্ড মেদিনীপুরের ভূমিপত্র তিনি। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, জঙ্গলমহলে ৫০ বছরের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে আরএসএসের। কিন্তু বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় শুভেন্দু তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন। জঙ্গলমহলের মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতাই সব। এই কারণেই এদিনের জনসভায় লোক ছিল উল্লেখযোগ্য ভাবে কম। সভাটির নাম ‘যোগদানমেলা’ দেওয়া হলেও সে অর্থে যোগদান হয়নি বললেই চলে।