নিউজ ডেস্ক :
সামনেই বড়দিন। আর বড়দিন মানেই কেক। কিন্তু এবার কেক খেতে হলে গুনতে হবে মোটা টাকা। কারণ কেকের সব উপকরণের দাম বেড়েছে অনেকটা। করোনা পরিস্থিতিতে ময়দা, ডিম, চিনি, মাখন সবকিছুর দাম অনেকটাই বেশি। ফলে কেক তৈরিতে অন্যবারের থেকে এবার খরচ পড়ছে বেশি। খরচ বেশি হওয়ায় কেকের দামও বাড়ছে।
সারা বছর মূলত এই সময়ের জন্যই অপেক্ষা করে থাকে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর, কান্দি শহরের বেকারিগুলো। বড়দিনের বাকি আর মাত্র ১০-১১ দিন। তার পরেই জিঙ্গল বেল, সান্টা ক্লজ আর অপরিহার্য কেক খাওয়ার পালা। বড়দিনের সময় ফ্রুট কেক, স্পেশ্যাল ফ্রুট কেক কিংবা প্লাম কেকের চাহিদা বেশ তুঙ্গে থাকে। তবে এবার কতটা বিক্রি হবে তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন বিক্রেতারা। একে করোনার জেরে আর্থিক মন্দা তারওপর কেকের দাম বাড়ায় অনিশ্চয়তার মধ্যেই কেক বানাচ্ছেন বেকারি মালিকেরা।
মুর্শিদাবাদ জেলার এক কেক বেকারির মালিক জানান, গত বছরের তুলনায় এবছর কেকের অর্ডার সেভাবে পাননি এখনও। গত বছর যেখানে ১০ থেকে ১৫টি দোকানের অর্ডার মিলেছিল। এবারে সেখানে মাত্র ৩টি দোকানের কেক বানানোর অর্ডার পাওয়া গিয়েছে। গত বছর শুধু মুর্শিদাবাদই নয়, আশপাশের জেলা-সহ অন্যান্য রাজ্য থেকেও কেকের অর্ডার পেয়েছিলেন। কিন্তু এবার কেকের চাহিদা অনেকটাই কম। সকলের এখন একটাই প্রার্থনা, দ্রুত সুস্থ হোক এই পৃথিবী। ফের বাড়ুক কেকের চাহিদা।