নিউজ ডেস্ক: ‘বুথের ১০০ মিটার দূরে পুলিশকে বসিয়ে রাখব। ভয়ের কিছু নেই, ভোট করাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।’ ঝাড়গ্রামের সভা থেকে ঠিক এভাবেই যেন নির্বাচন কমিশনের আগাম ঘোষণা করে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর মন্তব্যে নিন্দার ঝড় উঠেছে। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের পর জঙ্গলমহলে এই প্রথম কোনও সভায় উপস্থিত হয়ে নাম না নিয়ে ছত্রধর মাহাতোকে বিঁধলেন দিলীপ।
এদিন আগাগোড়া তৃণমূলের সমালোচনা করেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, ‘নতুন বছরে করোনার মতই তৃণমূল চলে যাবে। তৃণমূল সংক্রামক ভাইরাস, অনেক ক্ষতি করেছে। মমতা বলেন জঙ্গলমহল হাসছে, আমরা হাসি দেখি না। জঙ্গলমহল থেকে যুবক-যুবতী অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছে। আজ জঙ্গলমহলের ভূমিপুত্ররা পরিবর্তন করতে এসেছে।’ এখানেই তিনি নাম না করে ছত্রধর মাহাতোর প্রসঙ্গ টেনে দিলীপ বলেন, ‘মাওবাদী নেতাদের জেল থেকে ছাড়িয়ে আনা হচ্ছে। তাঁদের দিয়ে ভোটে জেতার চেষ্টা করছে তৃণমূল। বিরসা মুণ্ডার মূর্তি নিয়েও জঙ্গলমহলকে অপমান করেছে।’
ঝাড়গ্রামের সভা থেকে পুলিশ-প্রশাসনকেও একহাত নেন দিলীপ। বলেন, ‘পুলিশ তৃণমূলের তাবেদারি করছে। বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে অকারণে মামলা করছে। ক্ষমতায় এলে একমাসের মধ্যে সব মামলা তুলে নেব। এই অত্যাচারের প্রতিকার করবে বিজেপি।’ এরপরেই তিনি বলে ওঠেন, ‘ভোটের সময় পুলিশকে বুথের কাছে যেতে দেব না। বুথের ১০০ মিটার দূরে বসিয়ে রাখব। ভোট করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী, ভয়ের কিছু নেই।’ আর এখানেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। সাধারণত বিধানসভা ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয় না। তবে একুশের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা হবে কি না, সেবিষয়ে নির্বাচন কমিশন এখনও কিছু স্পষ্ট নির্দেশ দেয়নি। কিন্তু তার আগেই বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের মুখে শোনা গেল এই কথা।