নিউজ ডেস্ক: ‘শুভেন্দু যে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, সেটা অনেক আগে থেকেই জানা ছিল। সেকারণেই, গত এক বছর ধরে দলের বিভিন্ন দায়িত্ব থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছিল।’ শুভেন্দু অধিকারীর দলত্যাগ নিয়ে প্রথমবার প্রকাশ্যে মুখ খুলে বিস্ফোরণ ঘটালেন তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। শুধু তাই নয়, এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তৃণমূলের নির্বাচনী পরামর্শদাতা দাবি করলেন, শুভেন্দু নিজেই স্বীকার করেছেন তিনি ২০১৪ থেকে অমিত শাহের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। সব জেনেও মমতা তাঁকে দল থেকে তাড়িয়ে দেননি।
একসময়ের বিজেপির পরমর্শদাতা বর্তমানে রাজ্যে কাজ করছেন তৃণমূলের হয়ে। সেই প্রশান্ত কিশোর দায়িত্ব নেওয়ার পরই একপ্রকার খোলনলচে বদলে গিয়েছে তৃণমূলের। একদিকে সংগঠন যেমন মজবুত হয়েছে, অন্যদিকে তাবড় তাবড় নেতা তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিয়েছে বিরোধী শিবিরে। যদিও সেটিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ পিকে। তৃণমূলের বড় ক্ষতি বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মনে করা শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদান ছিল সময়ের অপেক্ষা। তা একবাক্যে জানালেন পিকে। পাশাপাশি এই ঘটনাকে তৃণমূলের ক্ষতি বলেও মানতে চাইলেন না তিনি।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পিকে বলেন, ‘‘রাজনীতিতে নিজস্ব জায়গা রয়েছে শুভেন্দুর। উচ্চাকাঙ্ক্ষা ভাল। কিন্তু, নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে ভুল ধারণা থাকা ভাল নয়। অনেক সময় উচ্চাকাঙ্ক্ষার বশে অনেকের মনে হতে পারে, দলের সাময়িক ক্ষতিতে আসলে তাঁর ভাল হবে।” প্রশান্তের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা খুব খুশি যে উনি জনসমক্ষে স্বীকার করেছেন, তৃণমূলে থাকার সময়ও ওঁর বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। নিজেই বলেছেন যে, ২০১৪ সাল থেকে অমিত শাহর সঙ্গে যোগাযোগ আছে। মমতা কিন্তু ওঁকে দল থেকে ছেঁটে ফেলেননি। এখন নিজেকে মমতার জায়গায় রাখলে কারও মনে হতেই পারে যে তিনি প্রতারিত হয়েছেন।” তাঁর কথায়, “এই নেতাদের মমতা তৈরি করেছেন। এই নেতারা মমতাকে তৈরি করেননি।” সম্প্রতি তাঁর ট্যুইট প্রসঙ্গে তিনি ফের দাবি করলেন বাংলায় বিজেপি একশো আসনও দখল করতে পারবে না।