নিউজ ডেস্ক: বন্দেমাতরম…। বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর তাঁর কী মুক্ত মনে হচ্ছে নিজেকে? উত্তরে এই স্লোগানই তুললেন শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার তমলুকের নিমতৌড়ির সভায় বলেন, ‘‘আমার জনশক্তি আছে। ওই শক্তিই আসল শক্তি।’’ তবে এদিন কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকার তলায় ছিলেন না তিনি। বরং জাতীয় পতাকা হাতে পদযাত্রা করলেন তিনি।
তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এদিন নিমতৌড়িতে সভা ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। প্রতি বছরই এই দিনটি পালন করেন শুভেন্দু। তমলুকে ২১ মাসের জাতীয় সরকারের স্মৃতিচারণ করেন তিনি। বলেন, ‘‘ওই একুশ মাসের সরকারকে বৃটিশরা ফেলে দিতে পারেনি। প্রতিবছর এই দিনটি উদ্যাপিত হয়। এ বার অনেক বেশি সংবাদমাধ্যমের লোক এসেছেন। যারা এই ইতিহাস জানে না, তারা শুধু ভোট চায়!’’
অতি সংক্ষিপ্ত বক্তৃতার মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘শুধু ভোট চাই, ভোট দাও, ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও, জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও-এর মধ্যে আটকে থাকলে চলবে না। বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আছে। থাকবে। কিন্তু তার সঙ্গে এই ইতিহাসও থাকবে।’’ প্রত্যাশিত ভাবেই শুভেন্দু খুব একটা রাজনৈতিক ভাষণের দিকে যাননি। তবে যেটুকু বলেছেন, তার মধ্যেই বার্তা রয়েছে যথেষ্ট।
সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা শেষ করে জাতীয় পতাকা হাতে শোভাযাত্রায় হাঁটতে শুরু করেন শুভেন্দু। তাঁর একেবারে পাশে ছিলেন অধুনা তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত এবং তাঁর অন্যতম ঘনিষ্ঠ নেতা কণিষ্ক পণ্ডা। এদিনই তিনি জানান, তাঁর নিজস্ব কিছু কাজ রয়েছে। তাই পদযাত্রার পরই কর্মসূিচ থেক প্রস্থান করেন তিনি।