নিউজ ডেস্ক: “বিজেপির আশ্রয় না পেলে উঠে যেত তৃণমূল।” দলবদলের পর পূর্ব বর্ধমানের উত্তর পূর্বস্থলী বিধানসভা কেন্দ্রে ছাদনিতে একটা সভা থেকে এভাষাতেই তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। সরাসরি মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন তিনি। আবারও শুভেন্দুর মুখে শোনা গেল, ‘তোলাবাজ ভাইপো হটাও।’
পরিবর্তনের পরিবর্তন করতেই হবে। এটাই নাকি একমাত্র শর্ত ছিল শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগদানের। মঙ্গলবার দুপুরে পূর্ব বর্ধমানের উত্তর পূর্বস্থলী বিধানসভা কেন্দ্রে ছাদনির সভা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘ “আমার সঙ্গে একাধিকবার অমিতজি, দিলীপ দার মতো নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমি কোনও শর্ত রাখিনি। শুধু বলেছি, তোলাবাজ ভাইপো হটাতেই হবে।” তার আগেই অবশ্য ২০০১ সােলর কথা মনে করিয়ে তৃণমূল তথা দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন শুভেন্দু।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “নিজের দমে মুখ্যমন্ত্রী হলে ২০০১ সালেই হতেন। আমি বলব না আমার কথা, কিন্তু নন্দীগ্রামের এতগুলো মানুষ অনেক কিছু দেখেছে। তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে বিধানসভা ভোট, পঞ্চায়েত নির্বাচন ও তারপর লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কারা ছিল? সেদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ী যদি তৃণমূল কংগ্রেসকে আশ্রয় না দিতেন, লালকৃষ্ণ আদবানি আশ্রয় না দিতেন তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস ২০০১ সালে রাজনীতি থেকে হারিয়ে যেত।”
রাজ্যে পরু পাচার, কয়লা পাচার অভিযোগ তুলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন শুভেন্দু। ফের ‘তোলাবাজ ভাইপো হটাও’ স্লোগান তুলে শুভেন্দু বলেন, “একুশে তৃণমূল ক্ষমতায় এলে এবার শুধু কিডনি পাচার বাকি।” বিজেপিতে যোগদানের পর নন্দীগ্রামের শহিদ পরিবারের সদস্যদের পাশাপািশ তৃণমূল নোতৃত্ব তাঁকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলেছে। এদিন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাসঘাতক নই, মীরজাফর নই। যার আত্মসম্মান আছে তিনি ওই দলটা করতে পারবেন না। ওটা একটা কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে।”